সারাদেশের আলোচিত চাঞ্চল্যকর বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির পলায়নের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে ছাদ কেটে রশির মাধ্যমে তারা পলায়ন করেন৷ পরে পুলিশ রাতে ৪ টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি করা করা হচ্ছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিরা হলো, স্কুল ছাত্র নাঈম হত্যা মামলার আসামী জেলার কাহালু পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩১) (কয়েদি নং ৩৬৮৫), কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু (কয়েদি নং ৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নং- ৫১০৫), এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ( কয়েদি নং- ৪২৫২) ।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা সুপরিকল্পিত এবং কারা কর্তৃপক্ষের চরম দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে বলে সুশীল সমাজ মনে করছেন।
আজ বুধবার (২৬ জুন) সকালে নিজ কার্যালয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী প্রেসবিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান।
বগুড়া পুলিশ সুপার আরও জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক চারটায় জানতে পারেন বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদর দিয়ে রশ্মি তৈরী করে প্রাচীর টপকিয়ে ৪ জন ফাঁসির আসামী পালিয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে ডিউটি রত সকল পুলিশকে তাদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। রাত আনুমানিক ৪ টা ১০ মিনিটে সদর ফাঁড়ির এস আই খোরশেদ আলম তার নেতৃত্বে শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। এরপর তাদেরকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন, জেলার কোন কথা বলতে রাজি না হলেও। ডিআইজি (প্রিজন) কামাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তবে কয় সদস্য বিশিষ্ট তা জানেন না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। বিষয়টি দেখতে অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) আসছেন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছে। পরে সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এডিএমকে প্রধান করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক আরও জানান জানান, এ ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, এডিএম, পুলিশের একজন কর্মকর্তা, র্যাবের একজন, গণপূর্ত বিভাগের একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন এবং জেলা কারাগারের একজন থাকবে।