কানাডায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে শ্রমিকদের বহন করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় একজন বেচেঁ গেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কানাডার সুদূর উত্তরে একটি খনিতে নেওয়ার জন্য শ্রমিকদের বহনকারী একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হলে ছয়জন মারা যান বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, দুর্ঘটনায় একজন ব্যক্তি বেঁচে গেছেন। তবে জীবিত সেই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন তা জানানো হয়নি।
এদিকে সামরিক ও ফেডারেল পুলিশ নর্থওয়েস্ট টেরিটোরির এই দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়। স্নোমোবাইলে থাকা কানাডিয়ান রেঞ্জাররা বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষটি শনাক্ত করে এবং পরে হারকিউলিস বিমান থেকে প্যারাসুটে করে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী টেকনিশিয়ান সেখানে নামেন।
অন্টারিওর ট্রেন্টনের জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্ট স্মিথ থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ফোর্ট স্মিথ অঞ্চলটি আঞ্চলিক রাজধানী ইয়েলোনাইফ থেকে ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
শহরের হাসপাতাল বলেছে, তারা গণ হতাহতের প্রোটোকল সক্রিয় করেছে এবং আর্কটিক অঞ্চলের প্রধান করোনার গার্থ এগারবার্গার বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছেন- ‘এখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে’।
জেটস্ট্রিম টুইন টার্বোপ্রপ এয়ারলাইনার পরিচালনাকারী নর্থওয়েস্টার্ন এয়ার জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি একটি চার্টার ফ্লাইট ছিল যেটাতে করে শ্রমিকদের খনিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এটি উড্ডয়নের পর রানওয়ে থেকে ১.১ কিলোমিটার (০.৭ মাইল) দূরে বিধ্বস্ত হয়।
এই পরিস্থিতিতে ফোর্ট স্মিথ থেকে সমস্ত ফ্লাইট বুধবার পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি দলকে দায়িত্ব দিয়েছে।