নভেম্বর ২৪, ২০২৪

একাদশ শ্রেণির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) থেকে ভর্তি শুরু। কার্যক্রম চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোনো ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

ভর্তি ফি

এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।

ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।

অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।

মেধা কোটা

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির কাজটি সম্প

ন্ন হয়েছে।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...