সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর প্রথম ভাষণ দিলেন বাইডেন। কেন কমলা হ্যারিসকে চান তার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাইডেন যেমন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সাফল্যের কথা বলেছেন, তেমনই কমলা হ্যারিসেরও প্রশংসা করেছেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি কমলা হ্যারিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি অভিজ্ঞ, দক্ষ ও কড়া ধাঁচের মানুষ।’

বাইডেন বলেছেন, ‘কমলা আমার অসাধারণ সহযোগী ছিলেন এবং তিনি আমাদের দেশের একজন যোগ্য নেতা।’

বাইডেন জানিয়েছেন, ‘আগামী নভেম্বরে মার্কিন ভোটদাতারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, তার আগে তাদের গণতন্ত্রের বিপদের কথাটা জানিয়ে দেওয়াটা জরুরি। আমেরিকার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এখানে রাজা বা ডিক্টেটররা কখনো শাসন করেনি। মানুষ করেছে। মানুষই ইতিহাস লিখবেন। শুধু মনে রাখবেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে।’

বাইডেন বলেছেন, ‘ভোটদাতারাই ঠিক করবেন, তারা আগে যাবেন নাকি পিছিয়ে যাবেন। তারা আশার দিকে যাবেন, নাকি ঘৃণাকে বেছে নেবেন। আমি গণতন্ত্রের পথে কোনো বিপদ আসতে দিতে চাই না বলে দ্বিতীয়বার প্রসিডেন্ট হওয়ার পথ থেকে সরে যাচ্ছি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজের বাকি সময়টা আমি কাজ করে যাব। যারা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে, সেই কঠোর পরিশ্রমী পরিবারগুলির আর্থিক বোঝা কমাবার চেষ্টা করব। আমাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের ওপর কোনো আঘাত আসতে দেব না। আমি বারবার বলব, আমেরিকায় ঘৃণা ও চরমপন্থার কোনো স্থান নেই। আমি সুপ্রিম কোর্টের সংস্কারের কথা বলব। কারণ, এটা করা জরুরি।’

বাইডেন জানিয়েছেন, ‘আমি গাজায় যুদ্ধ যাতে বন্ধ হয়, তার চেষ্টা করে যাব। বন্দিরা যাতে মুক্তি পান, সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করেছেন। বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর কমলা হ্যারিসেরই প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘হ্যারিস হলেন চরম বামপন্থি উন্মাদ, যার হাতে পড়লে দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। আমরা তা হতে দেব না।’

ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেনের আমলে যে সব বিপর্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার পিছনে কমলা হ্যারিসের হাত ছিল।

অপরদিকে জো বাইডেনের জায়গায় তাদের প্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করতে ১ আগস্ট থেকে অনলাইন ভোট দেবেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।

ডয়চে ভেলে বলছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই খুব সম্ভবত প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে চলেছেন। কারণ, তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা দাঁড়াননি। দলের বেশ কয়েকজন শক্তিশালী নেতা হ্যারিসকেই সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন।

তবে শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীই নয়, ডেমোক্র্যাটদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীও ঠিক করতে হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *