সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। ডিম, আলুসহ কিছু পণ্যের দামও কমেছে। দামের এ নিম্নমুখী প্রবণতায় খুব বেশি খুশি নন সাধারণ ক্রেতারা। দাম সামান্য কমলেও তা নাগালের বাইরে। এদিকে চাল, ডাল চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। ফলে স্বস্তি নেই বাজারে।

আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। যা গত এক সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি কমেছে ১০ টাকা। তবে অন্যসময় বছরজুড়ে আলুর দাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও তা এখনও স্বাভাবিক দামের চেয়ে দ্বিগুণ।

খুচরা বাজারে এখন প্রতি পিস ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। ডিমের হালি দুই সপ্তাহ আগেও ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এ ছাড়া ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগির কেজি।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ, শিং, পাবদা, চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১০ থেকে ৪০ টাকা। তবে ফের বাড়ছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনিতে গড়ে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বাজারঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শোল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, কৈ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, শিং ১ হাজার ২০০ টাকা ও পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।
 
এ ছাড়া প্রতিকেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৩৬০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৮০ টাকা, পাবদা ৪২০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
আর বাজারে কিছুটা কমে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা ও ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।

নতুন করে বাড়েনি পেঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি রসুন ২২০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে।

এদিকে আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
 
এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন চিনিতে শুল্ক কমানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা কমানো হয়েছে।
শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *