কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে কবরস্থানগুলো যথাযথ তদারকি ও সুরক্ষায় একটি সার্বজনীন আইন প্রণয়ন করা কেন হবে না- রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া গত ১৪ মার্চ রিটটি দায়ের করেন। কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি রোধে মরদেহ সুরক্ষায় আইন তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান তিনি।
]রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এডভোকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও আঞ্চলিক এলাকার কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই কবরস্থানগুলো সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।