বিশ্ব নেতারা শুক্রবার দুবাইতে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন সীমিত করার প্রচেষ্টা বাড়ানোর পাশাপাশি আলোচনায় ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রাধান্য দিচ্ছেন। দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি ‘ক্ষয় ক্ষতির’ তহবিল চালু করতে বৃহস্পতিবার সম্মত হয়েছেন। এটাই কপ-২৮সম্মেলনের প্রাথমিক বিজয়। শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা জীবাশ্ম জ্বালানীর ভবিষ্যত থেকে শুরু করে দীর্ঘ জলবায়ু আলোচনার বিষয়গুলোর ওপর ১২ দিনের জটিল আলোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
২০২৩ সাল রেকর্ড উষ্ণতম বছর হওয়ায় বিশ্বের উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
কপ-২৮’র সভাপতি তেল সমৃদ্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুলতান আল জাবের বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এখন আসল কাজ শুধুমাত্র শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই আমার হাতা গুটিয়ে নেব। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জড়িত থেকে সাহায্য করব এবং বাস্তব কার্যকরী ফলাফল প্রদান করব।’ ক্ষয় ক্ষতির ঘোষণার পরে এক ‘ইতিবাচক’ ও ‘আশাবাদী’ ভাব সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল সংস্থা এডিএনওসি-এর প্রধান জাবের বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ভূমিকা’ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
মানবাধিকার কর্মীরা জলবায়ুর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে এবং জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের তিন চতুর্থাংশের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে একটি ধাপ বের করে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিস্তৃত এক্সপো সিটি দুবাই কমপ্লেক্সে শুক্র ও শনিবার ১৪০টিরও বেশি দেশের রাজা, রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান ও প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন। ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয় শুরুতে ভাষণ দান করবেন। পরে ব্রাজিল, কেনিয়া, টোঙ্গা ও ইউক্রেনের মতো দেশগুলোর নেতারা আসবেন।
আলোচনায় গাজার সংঘাত জলবায়ু সংকটের সঙ্গে স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার কপ-২৮সম্মেলনে তিনিও আলোচনায় অংশ নিবেন।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসেরও বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে তার কার্যালয় এএফপি’কে বলেছে, তার পরিবর্তে ফিলিস্তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুবাই যাবেন। খবর বাসস।