ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

বাংলাদেশের ওষুধ ও চামড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাকি উদ্যোক্তারা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সঙ্গে ইরাকের সুলাইমানি চেম্বারের প্রতিনিধিদলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উদ্যোক্তরা এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৭.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৯.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই সময়ে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৩.৪৩ মিলিয়ন ও ৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে শাক-সবজি, আলু, আম, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য এবং বিশেষকরে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির আহ্বান জানান। এছাড়াও উৎপাদন ও সেবা খাতে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ডিসিসিআই সভাপতি দ্বৈতকরণ পরিহারের ওপর জোরারোপ করেন।

বৈঠককালে সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ বলেন, ইরাকের বাজার বাংলাদেশের উৎপাদিত তৈরি পোশাক খাতের পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং তার দেশের বাজার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও লাভজনক।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করার পাশাপাশি ডিসিসিআই ও সোলাইমানি চেম্বারের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওষুধ ও চমড়াখাতে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ইরাকের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত আগ্রহী। সেই সঙ্গে ইরাকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদে সোলাইমানি চেম্বারের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...