নভেম্বর ৯, ২০২৪

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২৩- সেপ্টেম্বর’২৩) ২০২ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানান প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে।

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৬তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ৪৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল।

প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রিসিভেবলস কালেকশন বা দেনাদারদের থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ব্যাপকহারে বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যাংক ঋণ কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৬৭ পয়সা যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৫২ পয়সা লোকসান হয়েছিল। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৪৮ টাকা ৮৮ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫০ টাকা ৪০ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৫৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ১৮.৬৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৮ পয়সা।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫.২২ এবং ২.৩০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো যথাক্রমে ২১.৮১ এবং ৮.০৬ শতাংশ।

এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৬২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে প্রায় ৯৯.২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৩২২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬.৭৯ শতাংশ। পূর্বের বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান হয়েছিলো ৩.১২ শতাংশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...