ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

সম্প্রতি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডকে (এসআইবিএল) এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম ও দুই উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান ও খোরশেদ আলম পদত্যাগ করেছেন।

চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে এসআইবিএলের মালিকানায় আসে। তারপর এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত এই তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাংকটির দায়িত্বে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজন ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা; আরেকজন এসেছিলেন ভিন্ন আরেকটি ব্যাংক থেকে।

গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার লক্ষ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। একজন উদ্যোক্তা শেয়ারধারীকে পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি এই ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয়। একই সঙ্গে আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়।

এর আগে ২০১৭ সালে এসআইবিএলের মালিকানা পরিবর্তনের সময় কয়েকজন উদ্যোক্তা ও পরিচালককে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ টাকা বের করে নেওয়া হয়। যে কারণে ব্যাংকটি ইতিমধ্যে আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবেও ঘাটতিতে আছে।

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ, ন্যাশনাল ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা ফাইন্যান্সের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যাঁরা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। টাকা উদ্ধারে আইনগত যত পন্থা আছে, সবই অনুসরণ করা হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...