শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মনে করেন, কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর এক ধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এই মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে। এই মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ লাগবের জন্য এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারো কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করে সেই বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী। সারাদেশের মোট ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত হতে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সকল সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।