

পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার এবং বিগত ৬ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্ধশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. আল মাসুম মৃধা, বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোসাব্বির আল আশিক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
মিথ্যা জমির মালিকানা দাবি, ভুল আর্থিক এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের অভিযোগ উঠায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইপিও সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরে তদন্তে জাল জমির মালিকানা নথি, ভুল আর্থিক বিবরণী এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের প্রমাণ পাওয় যায়। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরির প্রত্যেক পরিচালক ও ইস্যু ম্যানেজারকে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং কোম্পানি সচিবকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে বলে জানিয়ে ছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।