“এল নিনো” হচ্ছে একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার মানে “বালক” এবং নির্দেশ করা হয় “যীশুর ছেলে” বলে, কারণ এই পর্যাবৃত্ত উষ্ণ সামুদ্রিক জলস্রোতের পরিবর্তন সাধারণত উত্তর আমেরিকার ক্রিসমাসের সময়ই দেখা যায়। আর “লা নিনা” স্প্যানিশের মানে হচ্ছে little “বালিকা”। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) আসন্ন এল নিনোকে ঘিরে আশঙ্কা করছে, গরম আরো বাড়বে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড ছোঁবে। জাতিসংঘের এই সংস্থা আজ বুধবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা জানায়।
ডাব্লিউএমওর হিসাব অনুসারে, চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ নাগাদ এল নিনো সৃষ্টি হবে, এমন সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ এবং আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ওই আবহাওয়া চক্র সৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
ডাব্লিউএমওর আঞ্চলিক আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান উইলফ্রান মুফুমা ওকিয়া বলেন, বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ুর ধরনে পরিবর্তন আসবে।
এল নিনোর প্রভাবে সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ে, পৃথিবীর কোনো কোনো অংশে খরা দেখা দেয়, আবার অন্যান্য অংশে ভারি বৃষ্টিপাত ঘটে। এল নিনোর ঠিক উল্টোটা হলো লা নিনা, যেটার প্রভাবে বাড়তে পারে শীত।
জাতিসংঘ জানায়, গত আট বছরে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে বিশ্ববাসী। এর মধ্যে প্রায় চার বছরজুড়ে লা নিনার শীতলীকরণ প্রভাব সত্ত্বেও ওই তাপমাত্রায় ভুগতে হয়েছে মানুষকে।
ডাব্লিউএমও প্রধান পেত্তেরি তালাস বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পথে অস্থায়ী বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল লা নিনা। এবার বিশ্বের উচিত এল নিনোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আসন্ন এল নিনোর প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগের তুলনায় আরো বাড়বে এবং সেই তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়বে।
সূত্র : এএফপি