ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। রাতভর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরের মানুষকে। বর্তমানে মহাসড়কের সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে কালিহাতীর পৌলি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার অংশে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানজট ছিল। তবে সেটি এখন কমে ৮ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকেছে।
এ ছাড়া ঢাকাগামী পরিবহনগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে কোথাও কোথাও পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এলেঙ্গা থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ সড়কে ব্যাপক যানজট লেগেছিল।
যানজটের কারণে ঈদে ঘরেফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে গণপরিবহন না পেয়ে যারা ট্রাক ও পিকআপে রওনা হয়েছেন তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু-নারীরাও এসব ট্রাক ও পিকআপে চড়ে নাড়ির টানে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন।
জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ফিটনেসবিহীন একাধিক পরিবহন বিকল হওয়া, সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়াভাবে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
টাঙ্গাইল অংশে পরিবহনের চাপ বেড়ে গেলে জেলা প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরবঙ্গমুখী সেতু চার লেন করে দেয়। ঢাকামুখী লেন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবুও যানজট ঠেকানো যায়নি সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ার কারণে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৯৫১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। বর্তমানে মহাসড়কে গাড়ির টান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।