নভেম্বর ১৬, ২০২৪

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণের পর কিছু অভিঘাত বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধার অবসান ঘটবে। একইসাথে অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিকাশের মাধ্যেমে কিছু বাড়তি সুবিধাও তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রূপকল্প ২০৪১ এবং সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ গ্রহণ করে। যেখানে সরকার দেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা, দারিদ্র দূর করা এবং ২০৪১ মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা লাভের পথনকশা নির্ধারণ করেছে।

একই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণজনিত চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় সরকার বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানমূখী অবকাঠামো উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তোলা এবং প্রতিবন্ধি ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যকর রাজস্ব ও মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে এখন থেকেই বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) এবং দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে সরকার।

বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডাব্লিউটিও), আঙ্কটাড, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...