স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তবে দূরদর্শী উদ্যোক্তা আর তরুণ জনগোষ্ঠীর কাঁধে ভর দিয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আর আগামীর আন্তর্জাতিক বাজার চ্যালেঞ্জকে সামনে এনে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বৈচিত্র্যময়তার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ বাণিজ্য সচিবের।
২০২৬ সালের নভেম্বরে উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য অর্জনে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) আর নিজেদের ডেল্টা প্ল্যানকে সামনে রেখে কাজ সরকার সরকার।
সেই উত্তরণকে টেকসই করার কৌশল নিয়ে আজ রোববার (৯ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেকসই উত্তরণের কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন জানান, অর্জন করতে হবে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করার মতো সক্ষমতা।
এলডিসি উত্তরণ হলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্ববাজারের অংশীদারিদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে; এমন ইতিবাচক দিক তুলে ধরলেও এলডিসির সুযোগ বন্ধে হয়ে যাওয়া আর মিডল ইনকাম ট্র্যাকের ঝুঁকির কথা জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মধ্যম আয়ের ফাঁদ।
তবে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এমন শঙ্কার কথা বললেও সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পরিশ্রমী মানুষ, উদ্যোক্তা আর তরুণদের ওপর ভরসা রাখতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, দেশের পরিশ্রমী মানুষ, দূরদর্শী উদ্যোক্তা আর তরুণ জনগোষ্ঠীর কাঁধে ভর দিয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে বাংলাদেশ।
এ সময় এলডিসি উত্তরণের পথে অর্থনীতির পাশাপাশি পরিবেশ ও সামাজিক সূচকগুলোর উন্নয়নেও সমান নজর রাখার তাগিদ দেন অন্যান্য বক্তারা।