স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি।
রোববার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হুইটলি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার খুবই ভালো একটা আলোচনা হয়েছে। গত তিন বছরে এই দেশে আমি কাজ করেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে। বাংলাদেশের এখন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা সবাই একটি মসৃণ উত্তরণ চাই।
হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। চার্লস হুইটলি বলেন, শিল্পকারখানায় কর্মপরিবেশ, শ্রম ক্ষেত্রে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশ যেভাবে কাজ করেছে, তাতে এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে বলেও জানান তিনি। এই কূটনীতিক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এছাড়া সীমান্তের ওপারে (মিয়ানমার) খুবই অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছে। আমাদেরও ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো আভাসও মিলছে না। ইউরোপীয় প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।
কয়েকদিন পরই আপনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, এখানে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলে হুইটলি বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে আমার কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই। আমি বাংলাদেশ ছাড়তে চাইনি।