কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে আলো ছিল। পরপর দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন এই ফ্রান্সম্যান। সমান আলো ছিল ১৬ বছরের লামিন ইয়ামালের দিকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পুরো আলোই কেড়েছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ইয়ামালের কামাল করা পারফরম্যান্সে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে স্পেন।
তুলনামূলক রক্ষণাত্মক ইউরো টুর্নামেন্ট দেখা গেলেও সেমিফাইনালে শুরুতেই গোলের উৎসবে মাতে দুই দল। সঙ্গে মাতিয়ে তোলে গ্যালারি। ম্যাচের ৮ মিনিটে লিড নেয় রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ও কাতার বিশ্বকাপের রানার্স আপ ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে রান্দাল কোলো মুয়ানির দারুণ হেডে এগিয়ে যায় দিদিয়ের দেশমের দল।
পরেই সমতায় ফেরে স্পেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল করেন লামিন ইয়ামাল। স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার পাসে গোলটা হলেও পুরো কৃতিত্ব পাবেন ১৭ বছর বয়সের প্রান্তে থাকা ইয়ামাল। বাঁ-পায়ের মাপা এবং দুর্দান্ত এক শটে ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক ম্যাইগন্যানকে দর্শক বানিয়ে জালে বল পাঠান তিনি।
মাস্ক ছাড়া খেলতে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু খোসল ছেড়ে বের হতে পারেননি। ছবি: এএফপি
মাস্ক ছাড়া খেলতে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু খোসল ছেড়ে বের হতে পারেননি। ছবি: এএফপি
পরেই লিড নিয়ে নেয় স্পেন। ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল আসে স্পেনের নাম্বার টেন দানি অলমোর পা থেকে। জেসুস নাভাসের ক্রস গোলমুখ থেকে হেড করে ফিরিয়ে দেয় ফ্রান্স। বক্সে দারুণ দক্ষতায় বল নিয়ন্ত্রণে নেন আরবি লাইপজিগে খেলা প্লে মেকার অলমো। শূন্যে থাকা বল ঘুরিয়ে মুহূর্তে জোরের ওপর শট নিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন তিনি।
পরের সময়টা গোলের চেষ্টা করে গেছে ফ্রান্স। আক্রমণ বেশি করেছে তারা। কিন্তু স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমনকে বড় পরীক্ষা নেওয়ার মতো শট ছিল না। স্প্যানিশদের ‘ফেক প্রেসিংয়ে’ অর্থাৎ পায়ে বল রেখে ছোট পাসে আক্রমণে উঠে ফ্রান্সের বক্সের মুখ থেকে আবার ব্যাক পাসে বল ফিরিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দিয়েছে লা ফুয়েন্তের দল।