বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এবারও থাকছে গুচ্ছ পদ্ধতি। পরীক্ষার আয়োজনের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি গুচ্ছ ভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে। এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হচ্ছে নতুন দুই বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর।
রোববার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক উপাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সমন্বয় করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বিগত সময়ের পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপনার ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন সদস্যরা। এ সময় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে ফিন্যান্স রুলস গঠন ও গত বছরের অর্থনৈতিক খরচের হিসাব প্রকাশসহ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক দাবি জানান ইউজিসির খণ্ডকালীন সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেকা হালিমের দাবিগুলোর যৌক্তিক দাবি করে সমর্থন করেন অন্যান্য সদস্যরা।
উপাচার্যরা বলেন, স্বচ্ছতার জন্য ফিন্যান্স রুলস গঠন অত্যন্ত জরুরি। এতে করে গুচ্ছ প্রক্রিয়া আরও বিশ্বস্ততা পাবে, সমালোচনা মুক্ত হবে ও সবার জন্য কাজ করতে সুবিধা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায়।
তারা আরও বলেন, গত বছরের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হচ্ছে নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর।
ভর্তি পরীক্ষা কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। গুচ্ছের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সবাই। উপস্থিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা একমত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভর্তি পরীক্ষা ও বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, মিটিংয়ে উপস্থিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সম্মতি দিয়েছেন গুচ্ছের বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হবে। পরবর্তী মিটিংয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবারের গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় হলো: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পি
রোজপুর।