সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,  ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তদন্তের পর বিভাগীয় মামলা হতে যাচ্ছে ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হন এডিসি হারুন। পরে তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (পিটিসি) বদলি করা হতে পারে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এটি গুজব।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এডিসি হারুনকে। ওই দিন এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাকে চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক ১১/৯/২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

একই দিন তাকে বরখাস্ত করার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেখা করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এর আগের দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়। পরে একই দিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমকে নির্যাতন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ।

জানা যায়, নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *