ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানেও তরুণরাই ছিল মূল চালিকাশক্তি।

অাজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তিন দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব-২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত হচ্ছে। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালন করছে।

তিনি বলেন, তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য এই সরকারের এবং তরুণদের যে অবদান রাখার সুযোগ আছে সেটা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর সামনে উত্থাপিত হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরাই ছিল মূল চালিকাশক্তি এবং গণ-অভ্যুত্থান -পরবর্তী এখন পর্যন্ত তরুণরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে যাচ্ছে। তরুণরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছে, ফলে বাংলাদেশ আর কখনও পথ হারাবে না।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী শক্তি যারা গুম-খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিল, তারা আজীবন জনগণের শত্রু হিসেবেই স্বীকৃতি পাবে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে দেশ গেছে, তবে বাংলাদেশ এখন এই পর্যন্ত আসার পেছনে সবার ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদের শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করছে। তারুণ্যের উৎসব ২০২৫-এর মাধ্যমে দেশের সব তরুণ ও যুবসমাজকে উন্নয়নের ধারায় সংযুক্ত করে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...