সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নয়া দিল্লির একটি সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কাকে দেখাবে, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে, কে ভিসানীতি দেবে? এসব আমরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের তো নেতা নেই। আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।’

অর্থ খরচ করে ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি কেনা হয়েছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি একেক সময় একেক জায়গায় ভর করে। হঠাৎ দেখলাম ইউনূস সাহেবের জন্য ১৬০ জনের বিশাল চিঠি। এই চিঠির দাম কত? এই স্টেটমেন্টের দাম দুই মিলিয়ন ডলার। ওই চিঠি কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লেগেছে। কোথায় পান এত টাকা? শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে এগুলো চলছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের শক্তিতে আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়। সত্যের পক্ষে জনগণের পক্ষে যে কোনো সময় সুদৃঢ় অবস্থা এই দলের।

মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,টেমস নদীর তীরে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন বিএনপির নেতা। তলেতলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেবেছে ১/১১ এর মতো একটা সুশীল সরকার আসবে। তা আর হবে না। জনগণ কাকে ভোট দেবে ঠিক করে ফেলেছে। জরিপে ৭০শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে না করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝতে পারলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে।

যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসে তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপরা নিজের অর্জনকে বির্সজন দেয়। খারাপ আচারণের জন্য আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি… আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল নয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *