পেঁয়াজ কাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) টিসিবি ভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটে যারা রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদাররা কোথায় কীভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে সেই তথ্য নেয়া হচ্ছে।
এ সময়, এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার আশ্বাসও দেন তিনি।
গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে ভারত। যেখানে বলা হয় ৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করছে।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর বাংলাদেশে আসার পরই দাম বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যটির। এক রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে যায় পেঁয়াজের দাম।
এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত থেকে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । এরইমধ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) এ তথ্য সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী।