নভেম্বর ১৫, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় এবার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৮ মে সকালে একই কায়দায় উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তিনি বর্তমানে ঢাকার বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনার জীবননগর থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মনোহরপুর গ্রামের আলার মোড়ে চা খেতে আসেন। শুক্রবার চা খেয়ে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে দুর্বৃত্তরা তার রাস্তা আটকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মনোহরপুর গ্রামের জুলি খাতুন বলেন, সন্ধ্যার পর আমার ছোট ছেলের সঙ্গে আলার মোড়ে সুপারি কিনতে যাচ্ছিলাম। পথের মাঝে দেখি চেয়ারম্যান মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর পাশ দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশ পরিহিত দুজন ব্যক্তি চলে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখতে পাই। পরে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমার সুজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের পিঠের ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি অ্যাজমা ও পেশারের রোগী, তাই ঝুঁকি এড়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এদিকে, এক মাসের ব্যবধানে দুই চেয়ারম্যানকে একই স্টাইলে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। এ সময় তিনি বলেন, আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতাও আনা হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...