সাবিনাদের মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই খেলতে প্রায় কোটি টাকার মতো প্রয়োজন ছিল। বাফুফের কাছে সেই অর্থ ছিল না এবং এই অর্থ জোগাড়েও ব্যর্থ হয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গতকাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজের অসহায়ত্ব এভাবে প্রকাশ করেছেন, ‘এক কোটি টাকা জোগাড়ের ক্ষমতা নেই, কেন নেই! ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা তো জোগাড় করি। কুয়া থেকে পানি তুলতে গিয়ে তো একসময় তা শেষ হয়ে যায়। আমাকে তো কেউ দিতেও চায় না।
কেউ না দেয়ার পেছনে কারণ হিসেবে মিডিয়ার সমালোচনাকেই দায়ী করেছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমাদের তো সুনাম নেই। মিডিয়াতে সুনামের চেয়ে বদনাম বেশি।’ মেয়েরা কিছু দিন আগে বাফুফে সভাপতির কাছে গিয়ে কিছু আবদার করেছিলেন।
সেই পাঁচ আবদারের চারটিই যৌক্তিক মনে হয়েছে বাফুফে সভাপতির কাছে, ‘ওরা যে পাঁচটি দাবি দিয়েছে, তা যৌক্তিক, শুধু ৫ গুণ বেতন বাড়ানো ছাড়া। সেটা আলোচনা সাপেক্ষ। সব মিলিয়ে দেখি খাবারে এক কোটি টাকার বেশি আসে। বুটে আসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। আমি মনে করি এটা প্রকৃত চাহিদা। তারা একপর্যায়ে ট্রেনিং করা বন্ধ করলো। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নিজে থেকেই দ্বিগুণ বেতন দেবো। অন্তত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত। তাদের ডেকে বলেছি অনুশীলন বন্ধ করলে তোমাদের ক্ষতি হবে। আমি চেষ্টা করছি কীভাবে সবকিছু আয়োজন করা যায়।’
মেয়েদের দল মিয়ানমারে না পাঠিয়ে জামাল ভূইয়াদের দশ দিনের বেশি অনুশীলন করানো হয়েছে সৌদি আরবে। এ নিয়েও সমালোচনা চলছে। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘বাংলাদেশে ট্রেনিংয়ের ভালো সুযোগ-সুবিধা ছিল না। মাঠ প্রস্তুত করতে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লেগেছে। কাতার ও সৌদি দুই জায়গায় চেষ্টা করা হয়েছে। কাতারে হয়নি, সৌদিতে হয়েছে।’
জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল ১৯৯ র্যাংকিংধারী সিশেলসের বিপক্ষে হারে। নারী দল অলিম্পিক বাছাই খেলতে যেতে পারেনি। সব মিলিয়ে বাফুফের ইমেজ সংকট চললেও সভাপতি পুরোপুরি মানতে নারাজ, ‘আমি বলছি না যে ইমেজ সংকট নেই। আমি বলছি ফান্ডের ইস্যু যেটা আছে তার সমাধান হওয়া উচিত।’