প্রায় দেড় মাস আগে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকে আগের বোর্ড ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই সময়ের মধ্যে এখনো আগের পর্ষদের কোনো অনিয়ম খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছি। পাশাপাশি মানুষ এক্সিম ব্যাংকে প্রচুর আমানত রাখছে।
এদিকে দেড় মাসেও সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেনি এক্সিম ব্যাংকের নতুন পর্ষদ। অপরদিকে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও পায়নি তারল্য সহায়তার আশ্বাস।
সব মিলিয়ে এক্সিম ব্যাংকের নতুন পর্ষদ কি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা নিয়ে ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরী হয়েছে।
জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ এক্সিম ব্যাংকের নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সাবেক পর্ষদের আগ্রাসি ঋণ বিতরণের তথ্য ও ঋণ আদায়ের তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি নতুন পর্ষদ।
গত জুলাইয়ের শেষ দিকে নামে-বেনামে এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নেন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। নজরুল ইসলাম মজুমদারও ওই সময় থেকে প্রকাশ্যে আসেননি। ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ অগাস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।
এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হয় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।
নজরুল ইসলাম ২০০৭ সাল থেকে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন। আর বিএবির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ২০০৯ সাল থেকে।
বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।