এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় মুহূর্তেই দেহ ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষ করে ঠান্ডা পানীয় হিসেবে লেবুর শরবতের জুড়ি মেলা ভার। লেবুর শরবত পান করলে যেমন প্রশান্তি মেলে, তেমনই পাওয়া যায় পুষ্টি।
এতে আছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জানলে অবাক হবেন, দৈনিক (৮০-৯০) মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারে লেবু।
এছাড়া লেবুতে থাকা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন- ফ্রুক্টোজ, ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন বি ১, ২, ৬, ফোলেট ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। লেবু কতটা উপকারী চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হার্ট ভালো রাখে
লেবু ভিটামিন সি এর একটি অন্যতম উৎস। একটি লেবুতে প্রায় (৩০-৩১) মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১/৩ ভাগই পূরণ করে।
লেবু খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে যায়। লেবুতে থাকা হেস্পেরিডিন ও ডায়োসমিন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
লেবুতে থাকা পেকটিন ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
কিডনির পাথরের ঝুঁকি কমায়
লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে ও প্রস্রাবের পিএইচ বাড়িয়ে, কিডনিতে পাথর গঠনের জন্য কম অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
রক্ত স্বল্পতা দূর করে
লেবুতে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড আছে, যা আয়রন শোষণ উন্নত করে রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে
লেবুর রসে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুর রসের ঘনত্বে থাকা উদ্ভিদ যৌগগুলো সালমোনেলা, স্ট্যাফিলোকক্কাস ও ক্যান্ডিডা সংক্রমণের বৃদ্ধি ঠেকায়।
ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়
লেবুতে হেস্পেরিডিন নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। যেগুলো সাধারণ সর্দি ও ফ্লু সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।