রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি আবাসিক হোটেল থেকে হাসান শাহিন (৪৮) নামে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে মতিঝিল থানা-পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তিনি ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে অবস্থিত হোটেল রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনালের ২০ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ব্যবসায়িক ভাবে ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ ও মৃতের পরিবার।
এদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলেছে পুলিশ।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন উল্লেখ করেন, হাসান শাহিন থাকতেন গুলশান-১/৬ নম্বর রোডে। তিনি শেয়ার ব্যাবসা করতেন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়ীকভাবে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হোটেলটির ২০ তলার ছাদ থেকে লাফ দেন। পরে ১২ তলার বেলকনিতে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে সেখান থেকে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশা থেকে হোটেলের ২০ তলা থেকে লাফিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে পারছি না। তদন্ত শেষ হলে ঊর্ধ্বতন কর্মর্কতারা এ বিষয়ে জানাবেন।
এদিকে মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাশ নিয়ে আমরা এমনিতেই বেশ ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। তৎক্ষণাৎ তার আত্মীয়দের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানতে পারি তিনি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী ছিলেন। সুরতহাল রিপোর্টের তাগিদে সেই বিষয়টি উল্ল্যেখ করি। তবে ময়নাতদন্ত শেষে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
এছাড়া মৃত ব্যাবসায়ীর বড় ভাই হাসান সাব্বিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ভাই ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ব্যবসা করতেন। তবে তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। শেয়ার ব্যবসার কারণেই যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটা মূল কারণ নাও হতে পারে। আমি ভাই হারিয়েছি। মানসিক ভাবে এমনিতেই ভেঙে পরেছি। পরিবারের সম্মানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে আর ঘাটাঘাটি করবেন না।