ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার আট হাজার ৯৬৮ শতাংশ।
টিআইবি জানায়, ৩১০.৯৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত প্রার্থী তালিকার শীর্ষে আছেন নেত্রকোনার পূর্বধলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। তার ৯৯.১৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। তিন নম্বরে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সোহাগ মিয়া, তার ঋণ ৩৫.৮৭ কোটি টাকা। গত ৮ই মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২১ মে। এরপর তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে।