সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতি থেকে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ রাখতে হলে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটিও করতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরিস্থিতিতে জেলাগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই সব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার এবং শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী তারা এ ব্যবস্থা নেবেন।

এতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।

অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল সন্ধ্যার পর দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই সব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া ইতোপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ডিসেম্বর-২০২১ এ জারি করা স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসিডিওরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ রোববার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সারা দেশের সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া রেমাল আঘাত আনতে পারে এমন এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে, তবে ক্লাস হবে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *