পুঁজিবাজারে আরও ৪ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) থেকে কোম্পানি চারটির উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না। কোম্পানি চারটি হচ্ছে-খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, বিএসআরএম লিমিটেড এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর ৯১৬ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাকী দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিষয়ে আজ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এই দুই কোম্পানির উপর ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকবে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। ওই নির্দেশনা অনুসারে, গত ১৪ আগস্ট বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কমিশন বৈঠক ছাড়া শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেনি সরকার।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে অফিস করেননি বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি বাসায় থেকেই গত ১১ আগস্ট এককভাবে ৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে সংশ্লিষ্টদের সন্দেহ তৈরি হয়। এমন অবস্থায় অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরামর্শে শিবলী রুবাইয়াতের ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।
পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে।
এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনার মুখে পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।