শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ৩৮ ওভারের সময়। এ সময় রান নিতে দৌড় দেন কেন উইলিয়ামসন। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট লক্ষ্য করে থ্রো করেন। সেটি গিয়ে উইলিয়ামসনের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত করে। ব্যাথায় কুকড়ে ওঠেন ৭ মাস ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা কিউই অধিনায়ক।
দ্রুত মাঠে প্রবেশ করে নিউ জিল্যান্ড দলের মেডিক্যাল টিম। তারা আঙ্গুলে স্প্রে করেন এবং ব্যান্ডেজ করে দেন। ব্যান্ডেজ নিয়েই আরও কিছুক্ষণ খেলেন তিনি। এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ব্যক্তিগত ৭৮ রানে।
রাতে উইলিয়ামসনের আঙ্গুলের চোটের স্ক্যান করা হয়। আজ শনিবার রিপোর্ট পায় ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড। তাতে দেখা যায় তার আঙ্গুলে চিড় ধরেছে। সেটা থেকে সেরে উঠতে সময় লাগবে। সে হিসেবে চলতি মাসে আর খেলা হচ্ছে না তার। তবে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। লিগপর্বের শেষদিকে সম্ভব হলে তিনি আবার খেলবেন নিউ জিল্যান্ডের হয়ে।
তবে তার ব্যাক-আপ খেলোয়াড় হিসেবে নিউ জিল্যান্ড থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে টম ব্লানডেলকে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্তক উইলিয়ামসনের জন্য অপেক্ষা করবে ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড। তারপরও যদি তিনি খেলতে না পারেন তাহলে ব্লানডেল যুক্ত হবেন দলের সঙ্গে।
চলতি বছরের মার্চে আইপিএল খেলতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী উইলিয়ামসন। কঠিন অধ্যাবসায় আর পরিশ্রম করে সেটা থেকে সেরে উঠে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন। কিন্তু সতর্কতা হিসেবে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেননি। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জেতান ৮ উইকেটে বড় ব্যবধানে।
কিন্তু ফেরার ম্যাচেই আবার পড়লেন ইনজুরিতে। বিষয়টি নিয়ে গোটা নিউ জিল্যান্ড দল মর্মাহত। এ বিষয়ে কোচ গ্যারি স্টিড বলেন, ‘প্রথমত কেনের জন্য আমরা সবাই খুবই মর্মাহত। কারণ, ফেরার জন্য সে যে পরিমাণ কঠোর পরিশ্রম করেছে সেটা সবাই দেখেছে। এখন ফিরেই আবার ইনজুরিতে পড়লো। যদিও তার ইনজুরিতে পড়ার বিষয়টি আমাদের জন্য হাতাশার। কিন্তু তবু কিছুটা আশার আলো আছে। গ্রুপপর্বের শেষ দিকে সে খেলতে পারবে। এটা নিয়ে আমরা আশাবাদী। কেন আমাদের বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। সুতরাং বিশ্বকাপের ম্যাচে ফিরতে সম্ভাব্য সব ধরনের সুযোগ আমরা তাকে দিতে চাই।’
লিগপর্বে এই মাসে আর তিনটি ম্যাচ খেলবে নিউ জিল্যান্ড। প্রথমটি ১৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ২২ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে এবং তৃতীয়টি ২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
এরপর ১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পুনেতে খেলবে তারা। আশা করা হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন উইলিয়ামসন। এরপর ৪ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ৯ নভেম্বর লিগপর্বের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।