নভেম্বর ১৫, ২০২৪

রাফায় ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করছে -এমন উদ্বেগের জেরা গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া পার্টনার সিবিএস নিউজ।

বিবিসি বলছে, জাহাজ মারফত পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে এক কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কিলোগ্রাম) ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, রাফায় বেসামরিক লোকজনের মানবিক চাহিদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ‘পুরোপুরি বিবেচনায়’ নেয়নি ইসরায়েল।

হোয়াইট হাউসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলি নেতাদের সিদ্ধান্তমূলক অবস্থানের দৃশ্যত ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ফলে ইসরায়েলে প্রস্তাবিত অস্ত্রের চালান পাঠানোর বিষয়টি যত্নের সঙ্গে পুনর্বিবেচনা শুরু করি আমরা। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হোয়াইট হাউস প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান, রাফায় ইসরায়েলের বড় রকমের স্থল অভিযান চালানো উচিত হবে না। কেননা, সেখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের অন্যত্র যাওয়ার জায়গাও নেই। রাফায় বেসামরিক মানুষের মানবিক চাহিদা ইসরায়েল কীভাবে মেটাবে ও সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযান পরিচালনা করবে, সেসব বিষয়ে স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেটিভ গ্রুপের কাঠামোয় দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তার কথায় যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইসরায়েলে বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে। তবে চালানটির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁবু টানিয়ে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন তারা। শহরটির পূর্বাঞ্চল থেকে এক লাখ ফিলিস্তিনিকে খান ইউনিসে তাঁবুতে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়ার এক দিন পরই সোমবার রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...