সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৭ হাজার ২৮ জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯১৩ জন শিশু, ১ হাজার ৭০৯ জন নারী ও ৩৯৭ জন বয়স্ক নাগরিক রয়েছেন।

গত ২০ দিন ধরে চলে আসা এই যুদ্ধে আহত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ ৭৫৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটনা ঘটে বুধবার।

অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৪০৫ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ৩০৮ সৈন্য ও ৫৮ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।

এছাড়া হামাসের অব্যাহত হামলায় ইসরাইলে আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের যে সংখ্যা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করছে তাতে অনাস্থা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, (গাজায়) কত মানুষ নিহত হয়েছে সেটা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা সত্য বলছে কিনা সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে আমি নিশ্চিত যে, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এবং একটি যুদ্ধ শুরু হলে এভাবেই তার মূল্য দিতে হয়।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের এহেন কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধ নয় বরং গণহত্যা বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে যা হচ্ছে তা গুরুতর। কে দায়ী বা কারা ভুল সেটা আলোচনার বিষয় নয়। সমস্যাটা হচ্ছে এটা যুদ্ধ নয়, এটা গণহত্যা। কারণ এতে দুই হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে। কোনো অপরাধ না করেও তারা ভুক্তভোগী।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলে ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে রাতভর ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *