মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মাঝেও ইরানকে তার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীন সমর্থন দিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বৃহস্পতিবার চীনা সংবাদমাধ্যম দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অস্থিরতার মাঝেও ইরানের প্রতি চীনের সমর্থন অটল থাকবে বলে জানান জিনপিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, বৈঠকে জিনপিং আরও বলেছেন, ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায়, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অগ্রগতি ধরে রাখতে এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত ও গভীর করতে সমর্থন দিয়ে যাবে চীন।’
বৈঠকে পেজেশকিয়ান বলেন, অবকাঠামো ও ক্লিন এনার্জির মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে ইচ্ছুক তেহরান।
‘বৈশ্বিক আধিপত্য ও বল প্রয়োগের বিরোধিতায়’ ইরান চীনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। জুলাইয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করলেন পেজেশকিয়ান।
এই বৈঠক এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরান-সমর্থিত হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পর সম্প্রতি ইরানে আক্রমণের হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ঘোষণা দিয়েছেন, ১ অক্টোবর ইরানের করা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র প্রতিশোধ নেবে ইসরায়েল। সেই হামলা পুরো বিশ্বকে ইসরায়েলের সামরিক সামর্থ্য জানান দেবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
গাজা ও লেবানন দখলে ইসরায়েলকে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়ায় ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ’কে উদ্দেশ্য করে নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে জিনপিংও মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। গাজায় ‘যত দ্রুত সম্ভব’ যুদ্ধবিরতি শুরু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।