নভেম্বর ১৪, ২০২৪

ইরাক ও সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালানো হয়েছে। হোয়াইট হাউজ বলছে, এ হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সময় লেগেছে ৩০ মিনিট।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বি-১ বোমারু বিমানও ছিল। এসব বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়।

এই হামলাকে গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন এবং আহত হন ৪১ জন।

ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছিল ওয়াশিংটন। এর জবাবে সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

কবে থেকে হামলা শুরু করা হবে, তা স্পষ্ট করে না জানালেও একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন, কয়েক দিন ধরে হামলা চালানো হবে। বিষয়টি আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন মার্কিন জেনারেল ডগলাস সিমস। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে বিমান হামলা চালানো কঠিন ছিল। গতকাল শুক্রবার পরিস্থিতি বদলে যায়। যেসব লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের সামরিক বাহিনী এবং আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে এ ধরনের হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরাকের সেনাবাহিনী। দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর ফলে বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরাকের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া রসুল।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইরাককে জানিয়েই দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...