সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। আজ শনিবার (২২ জুন) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ইনিশিয়েটিভে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সমুদ্রসীমা থাকা প্রতিবেশীদের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মোদি সরকারের এই উদ্যোগ। মোদি বলেন, ঢাকার সাথে চুক্তি তাঁর দেশের প্রতিবেশী প্রথম নীতিরই অংশ।

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে মোদি ও হাসিনার উপস্থিতিতে দুটি অভিন্ন অংশিদারত্ববিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিসহ পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি পুরনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।

বৈঠকের পরে শেখ হাসিনার সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন মোদি। এসময় তিনি বলেন, ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্পের কেন্দ্রে রয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ।

“আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরালো করতে, সামরিক (সরঞ্জাম) উৎপাদন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীগুলোর আধুনিকায়ন নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়েও আমরা একইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিমসটেক-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব” বলছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মোদি বলেন, জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে দুই দেশ।

মোদিকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা এএনআই জানায়, তিনি বলেছেন, উভয় দেশের মধ্যে ভারতীয় রুপিতে লেনদেন চালু হয়েছে। গঙ্গা নদী দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার সফলভাবে চালু করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণকাজও সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে নেপালের বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়টি জ্বালানিখাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মোদির বলেন, “মাত্র এক বছরে এতগুলো খাতে বড় বড় উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করার ঘটনা আমাদের বেগবান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও তার পরিধিকে তুলে ধরছে।”

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *