সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

দেশে ইন্টারনেট আবারও বিঘ্নের মুখে। এবার সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের জন্য ব্যাহত হবে ইন্টারনেট সেবা। দু’দিনে মোট ২০ ঘণ্টা এই সেবা ব্যাহত হতে পারে।

দেশে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এই তথ্য জানিয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে কোম্পানি।

বিজ্ঞাপ্তি অনুসারে, ৩০শে অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন দুপুর ২টা এবং ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হবে।

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (SEA-ME-WE 4) সিস্টেমের আপগ্রেডেশন কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। উক্ত আপগ্রেডেশন কার্যক্রমের জন্য ৩০শে অক্টোবর, ২০২৩ দিবাগত রাত ২:০০ ঘটিকা হতে পরদিন (৩১শে অক্টোবর) দুপুর ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘন্টা এবং আগামী ১লা নভেম্বর দিবাগত রাত ২:০০ ঘটিকা হতে পরদিন (২রা নভেম্বর) দুপুর ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘন্টা SEA-ME-WE 4 ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (SEA-ME-WE 5) ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। আপগ্রেডেশন কার্যক্রমের কারণে উল্লিখিত সময়ে ইন্টারনেট গ্রাহকগণ সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। উল্লেখ্য যে, বর্ণিত আপগ্রেডেশন কাজ সম্পন্ন হলে SEA-ME-WE 4 সাবমেরিন ক্যাবলে বিএসসিপিএলসি এর ব্যান্ডউইডথ সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।কারিগরি কাজের জন্য (সিস্টেম আপগ্রেডেশন) দুই দিন ১০ ঘণ্টা করে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে বাংলাদেশে।

এদিকে বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা কামাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে। তবে সি-মি-উই ৫ চালু থাকায় ইন্টারনেট সেবা আংশিক বিঘ্ন হবে।’

জানা গেছে, দেশে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার এখন পাঁচ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে দুই হাজার ৪০০ জিবিপিএস দুই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

উল্লেখ, মাত্রই একদিন আগে ইন্টারনেট বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সারাদেশের ইন্টারনেট গ্রাহকরা। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগলে এ সমস্যার শুরু হয়। ওই টাওয়ারে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ডেটা সেন্টার ছিল। আগুন লাগার তিন দিন পরও ইন্টারনেট পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *