ইতালিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। ইতালীয় শহর ভেনিসের কাছে একটি ফ্লাইওভার থেকে পর্যটকবাহী ওই বাসটি নিচে পড়ে যায় এবং এরপর সেটিতে আগুন ধরে যায়।
আর এতেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ফ্লাইওভারের ব্যারিয়ার ভেঙে মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে পড়ে যায়। এই এলাকাটি ওই সেতুর মাধ্যমে ভেনিসের সাথে সংযুক্ত। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ইউক্রেনীয়, একজন জার্মান এবং ইতালীয় গাড়িচালক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটি প্রিফেক্ট মিশেল ডি বারি।
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো বলেছেন, ‘বিশাল ট্র্যাজেডি’ ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘একটি সর্বনাশা দৃশ্য, বলার কোনও ভাষা নেই।’
বিবিসি বলছে, ভেনিস এবং নিকটবর্তী মারঘেরা জেলার একটি ক্যাম্পসাইটের মধ্যে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই বাসটি ভাড়া করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ক্যাম্প থেকে পর্যটকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি স্থানীয় সময় রাত পৌনে আটটার দিকে ফ্লাইওভার থেকে পড়ে যায়।
এছাড়া কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাসটি মিথেন গ্যাসের মাধ্যমে চলত এবং বিদ্যুতের লাইনে পড়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়। এমনকি মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি।
অবশ্য দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি এবং উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, তিনি এই ‘গভীর বেদনার মুহূর্তে’ ইতালীয় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ইতালিতে অবশ্য এর আগেও মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ ইতালীয় শহর মন্টেফোর্টে ইরপিনোর কাছে একটি কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর ৩৮ জন নিহত হয়েছিল।