ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।

বুধবার সংঘর্ষের পর সচিবালয়ে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের যে চার জন ভাই গতরাতে শহীদ হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন। আর যারা আহত হয়েছেন, তারা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাদের সুকিচিৎসার জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা অবশ্যই নেব। হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই, বলে জানান তিনি।

এ সময় সাদপন্থিরা সন্ত্রাসী কায়দায় জুবায়ের অনুসারীদের ওপর হামলা করে চারজনকে খুন করেছে দাবি করে মামুনুল হক বলেন, ‘তারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করা শুধু আলেম-ওলামাদের কাজ নয়, এটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরও কাজ।’

সাদপন্থিদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজকের (বুধবার) মধ্যে মামলা করা হবে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, আমরা সাদপন্থিদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি। সাদপন্থিদের হামলায় হতাহতের পর তাদের ইজতেমা করার আর কোনো অবকাশ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল ইসলাম (৬৫) এবং বেলাল (৬০) নিহত হন। তার মধ্যে বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, বেলালের ঢাকার দক্ষিণ খান, আর তাইজুলের বাড়ি বগুড়া। নিহত আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদপন্থি মুসল্লিরা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত ৩টার পর সাদপন্থিরা কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ময়দানে প্রবেশ করলে সেখানে অবস্থান নেওয়া জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সাদপন্থিরা ফটক ভেঙে ময়দানে প্রবেশ করে এবং ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থিদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের বহু মুসল্লি আহত হন। আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...