আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা দাওয়াত করি না, ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসে। এই বছর ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। সে সকল দেশ বাদ দিয়ে ঘুরে ঘুরে ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা বাংলাদেশে কেন?
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনের (টিএসসি) মাঠে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিএনপির পুরো আমলকে ফুটিয়ে তুলেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে, ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তানে চলে যাক। বিএনপি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র করেছিলেন শেখ হাসিনা সেটা নির্মূল করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারত মহাসাগরীয় পরিকল্পনা ফাঁস করায় তারা এদেশে নজর দিয়েছেন। তিনি সত্য কথা বলেন এটাই তার দোষ। শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। ভিসা নীতি দিচ্ছেন নির্বাচনে যারা হস্তক্ষেপ করবে তাদের জন্য। বিএনপি তো চায় নির্বাচন সহিংস করতে, বাধা দিতে তাদের বেলায় তো কোন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় শান্তি চাই। আমরাও দেখবো এই নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি কার ওপর প্রয়োগ করে।
১৫ আগস্টের শহীদদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, অবুঝ শিশু, অবলা নারী, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারবালার ময়দানেও এসব দেখা যায়নি। পলাশীর বিশ্বাস ঘাতকতায় সেনাপতি ছিলো ইয়ার লতিফ আর ৭৫ এ জিয়াউর রহমান। পলাশীর ময়দানে যেমন সিরাজ খুব কাছের সেনাপতিদের জন্য পরাজিত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুও নিজের কাছের মানুষ দ্বারাই শহীদ হয়েছিলেন। মোহনলাল যেমন সিরাজের পক্ষে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছিলেন ঠিক তেমনই কর্ণেল জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে এসে শহীদ হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী তারেক রহমাননের বক্তব্য অনলাইনে দেয়া যাবে না কিন্তু সেটা অমান্য করে তিনি প্রতিদিন অনলাইনে আন্দোলনের বক্তব্য দিচ্ছে; কেন তার শাস্তি হচ্ছে না? আগামীর নির্বাচন আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের বিরুদ্ধে আরেকটা মুক্তিযুদ্ধে নামতে হবে। শেখা হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পতাকাকে উড্ডীন করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতে সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।