

দেশের সীমানা পেরিয়ে আমের সুভাস ছড়াচ্ছে বিদেশেও। দেশি আমের ঘ্রাণ নিচ্ছেন ইউরোপের দেশগুলোও। বিদেশ যাত্রায় নাম লেখাচ্ছে বাহারি নামের হরেক স্বাদের আম। এরই মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে মধ্য প্রাচ্যে রপ্তানি শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের ১৮৯ টন আম রপ্তানি হয়েছে। মঙ্গলবার ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে উড়াল দিয়েছে ২৫ টন আম।
আজ ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবার চার হাজার টন আম রপ্তানির আশা করছে সরকার।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলী, সুরমা ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ টন আম রপ্তানি হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশের আমের স্বাদ অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল। তাই আমের স্বাদ আর মান ধরে রাখতে পারলে বাইরের দেশ আম বেশি কিনবে। দেশে এ বছর ১৭০৪টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে আম চাষিদের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, চলতি বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে। তাই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ট সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ হতে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বাড়বে। এতে আম উৎপাদনকরা লাভবান হবেন। আম রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে।