রাশিয়ার উড্ডয়ন করা দশটি হামলাকারী ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দেশটির বিমানবাহিনী বুধবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। পূর্বাঞ্চলীয় রণক্ষেত্রে আভদিভকার কাছাকাছি দুটি গ্রাম থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা পিছু হটলেও সহযোগিতা ও সমর্থন নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে তিনি আলবেনিয়া পৌঁছেছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
টেলিগ্রামে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনের পাশাপাশি রাশিয়া ইউক্রেনে এস-৩০০ বিমানবিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল ছুড়েছে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পেরেছে কিনা তা জানায়নি তারা।
এদিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে রণক্ষেত্রেও রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতিকে ঠেকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের সমর্থন লাভের আশায় বিভিন্ন দেশ সফর করছেন জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার সৌদি আরব সফর শেষে বলকান দেশ আলবেনিয়া পৌঁছেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার আলবেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগলি হাসানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার তিরানায় ইউক্রেন-দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ সম্মেলন চলাকালে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি।
২০০৯ সাল থেকে ন্যাটোর সদস্য আলবেনিয়া। ইউক্রেনের পক্ষে সোচ্চার দেশটি। কিন্তু কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে প্রকাশ্যেই অনেকটাই নীরব থেকেছে তিরানা।
চলতি মাসের শুরুতে আলবেনিয়া সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনের প্রতি তিরানার সমর্থনের প্রশংসা করেছিলেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে। দ্বিতীয়া বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হতে পারে- এমন কোনো লক্ষণ নেই। বরং সেখানে রাশিয়া তার অভিযান আরও জোরদার করেছে। গোলাবারুদ ও অস্ত্রের ঘাটতিতে থাকা ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাশিয়া।