নভেম্বর ২৮, ২০২৪

রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর আভদিভকার বাইরে একটু একটু করে এগোচ্ছে। অর্জন ছোট হলেও সেটা সম্ভব হচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর গোলাবারুদের ঘাটতি এবং পশ্চিমা সহায়তা কমে যাওয়ায়। তবে ক্রেমলিনের সেনাদের অগ্রসরের আরেকটি কারণ হলো, দুর্বল ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট কোম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবসের টাইমসের চিত্র থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। চিত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আলাদা প্রাথমিক পরিখা লাইনগুলো আভদিভকার পশ্চিমে অঞ্চলটিকে জনবহুল করে তোলে। সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশ রক্ষায় চেষ্টা করছে। এই লাইনগুলোতে দুর্গের অভাব রয়েছে। দুর্গ না থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না রুশ ট্যাঙ্ক। ফলে ধীরগতিতে হলেও এ থেকে সুবিধা পাচ্ছে মস্কো।

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল। ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস

আভদিভকা গত ৯ মাসে ভয়ংকর অচলাবস্থার জায়গায় রূপ পেয়েছে। কারণ, এখানেই অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে বলে মনে করা হয়। রাশিয়া যখন শহরটি দখল করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারিতে, এটি ছিল রুশ বাহিনীর জন্য গত বছরের মে মাস থেকে প্রথম কোনো বড় অর্জন।

ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, তারা শহরের বাইরে প্রতিরক্ষামূলক লাইনগুলো সুরক্ষিত করেছে। কিন্তু রুশ সেনারা এক সপ্তাহের ব্যবধানে আভদিভকার পশ্চিমে তিনটি গ্রাম দখল করে ফেলে। অন্য একটি গ্রামে লড়াই চলছে দুই বাহিনীর মধ্যে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, কিয়েভ তার প্রতিরক্ষামূলক লাইনগুলো দ্রুততম সময়ে শক্তিশালী করতে পারেনি। ফলে রাশিয়ার ইউনিটগুলো ধীরে ধীরে হলেও আভদিভকা ছাড়িয়ে যায়।

ব্রিটিশ মিলিটারি ইন্টিলিজেন্স গত বৃহস্পতিবার জানায়, রুশ বাহিনী গত দুই সপ্তাহে আভদিভকার কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। যা আগের আক্রমণাত্মক অভিযানের তুলনায় ছোট, কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত অগ্রগতি।

অবশ্য, আভদিভকার বাইরে প্রতিরক্ষা প্রস্তুত করার জন্য যথেষ্ট সময় আছে ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের। এলাকাটি ২০১৪ সাল থেকে আক্রমণের অধীনে রয়েছে। রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেন এটিকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

বিপরীতে রাশিয়ার রয়েছে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরিখাসহ হাজার হাজার শেলের অস্তিত্বও ধরা পড়ে স্যাটেলাইট চিত্রে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...