যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘নূর হোসেন দিবসে’ আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার ঘোষণা ও সেটিতে বাধা প্রদান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন, বিতর্কিত সাংবাদিকদের আটক ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এক ভারতীয় নারী সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে আসেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এতে ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সংঘবদ্ধ হামলার আশঙ্কাজনক খবর শোনা যাচ্ছে। নারীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের জেল এবং প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচকরা বলছেন ছাত্রদের ৫ আগস্টের বিপ্লব দেশকে আবারও সেখানে নিয়ে যাচ্ছে যেখান থেকে এটির শুরু হয়েছিল। আমরা দেখেছি ভেদান্ত প্যাটেল এসবের নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আপনার কী কোনো কথা হয়েছে?’
জবাবে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আলাদাভাবে কী কথা হয়েছে সেটি এখানে আমি বলব না। তবে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে স্পষ্ট করেছি, যেমনটা আমরা বিশ্বের সব দেশের কাছে করি। আমরা শান্তপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন করি এবং চাই না সরকার কোনোভাবে শান্তপ্রিয় আন্দোলনে সহিংস দমনপীড়ন চালাক।’
এরপর ওই ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং জিজ্ঞেস করেন এ ব্যাপারে তার কিছু বলার আছে কিনা।
জবাবে মিলার বলেন, তিনি বিষয়টি টুকে রাখবেন এবং তাদের কিছু বলার আছে কিনা দেখবেন।