বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট নেই দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ৫২ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো ব্যাংক হবে না।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ষান্মাসিকের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যাংকে টাকা রাখার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোর ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট নেই। অনাস্থা তৈরি হওয়ার মতো কোনো কারণও নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে… এমন সম্ভাবনাও নেই।
দুর্বল ব্যাংকগুলো বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আমরা আগেই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করেছিলাম। তবে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। কেউ তারা খারাপের দিকে যায়নি, আর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে।
নতুন মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে এ হার হবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো হবে দাবি করে গভর্নর বলেন, সরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
দেশে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি প্রশমন করা। মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
এ সময় দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতির একটি খসড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান।