সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। জনির বাবা ইয়াকুব আলীর দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বর্তমান ও সাবেক ১৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে।

এছাড়া এ মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মোট ৬২ জনকেকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপি ডিবির সাবেক উপ পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন, ডিবি রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও আবু সায়েদ।

সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়া আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর এপিএস আব্দুল মান্নান, খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শরীফ আলী খান, মাহবুব হোসেন মাহবুব, ওযাহিদুল হাসান মিল্টন, নেছার উদ্দিন আহমেদ কাজল, নুরুজ্জামান জুয়েল, মোদাচ্ছের হাওলাদার, আব্দুল আজিজ, আব্দুল জলিল ওরফে ফর্মা জলিল, শাহাদাত হোসেন সাদু, ওহিদুল হাসান টফি, তানজির হাসান, সিরাজুল ইসলাম শাহিন, তাওহীদ, রাজিব, মো. ইব্রাহিম, আব্দুল হামিদ বাবু, সোহেল বেপারি, মো. পলাশ, মো. সম্রাট, মো. লুৎফুর কবির শাওয়ান, আতাউর রহমান, মো. অপু, মো. খোকন, মো, রিপন, মো. স্বপন, মো. সালেহ উদ্দিন মৃধা, মো. মনির হোসেন, মো. মনির হোসেন মোল্লা, মো. জুয়েল, মো. আব্দুল্লাহ আল মতিন মার্শাল, মো. ময়েনউদ্দিন মিলন, মো. ওমর আলী মাস্টার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আনিছুল রহমান সরকার, মো. মুকিতুল হক তুর্য, মো. জহুরুল ইসলাম ভুট্ট, ডিস সোহাগ, ব্রজেন দাস, ফর্মা সুজন, মো. শাহফুদ্দিন মজুমদার, মো. গোলাম বাপ্পি ওরফে পিচ্চি রুবেল, মো. রুহুর আমিন, মো. নঈম হোসেন ভূঁইয়া, মো. ফরহাদ হোসেন ভূঁইয়া, মো. সাহাবুদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. গোলাম মোস্তফা ওরফে বাবড়ী মোস্তফা।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, ঘটনার সাড়ে ৯ বছর পর গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলা নং ৪। ওই মামলায় ৬২ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, জনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এর আগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *