নভেম্বর ১৫, ২০২৪

গাজায় অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শহরটির আল-শিফা হাসপাতালে ও এর আশপাশে অভিযান চালানো হচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এবং খান ইউনিসের বিভিন্ন স্থানেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। খবর আল-জাজিরার

এদিকে রাফা শহরে ইসরাইলি হামলা আরও সম্প্রসারিত হবে এমন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার মানুষ। তারা আশঙ্কা করছে গাজা সিটি বা খান ইউনিসের মতো একই পরিণতি ভোগ করতে হবে রাফার মানুষদেরও। সেখানে অধিকাংশ অবকাঠামোই ধ্বংস করেছে ইসরাইল।

ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার রাফায় আশ্রয় নেয়। এটি মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরাইল।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।

আন্তর্জাতিক চাপ এবং নানা ধরনের সমালোচনার পরেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইসরাইলকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা এবং যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় তাদের ২৬ কর্মী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন যারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলায় একটি ক্রীড়া কেন্দ্রে ১৫ জন নিহত হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩২ হাজার ৬২৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৯২ জন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...