নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ব্যবসা সম্প্রসারণসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা বলেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।”
গত ৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের একাংশ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোট ‘সুষ্ঠু হয়নি’ বলে বিবৃতিতে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ভোটের পর দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজারো সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্বাচনের অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি এবং সব দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ।”
এর আগে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভোটের পর আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “আপনাদের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ আজ পেয়েছি, যাকে আমি আগের দায়িত্ব থেকেই চিনি।
“আজ আমাদের প্রাথমিক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে, জলবায়ু এবং ব্যবসার সুযোগ সম্প্রসারণের মত বিষয় নিয়ে এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের মত পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।”
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা এক প্রশ্নের উত্তরে জানান রাষ্ট্রদূত।