বাংলার মানুষের কাছে গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল আম। কাঁচা-পাকা দুই রকমের আমেরই বেশ চাহিদা রয়েছে। কাঁচা আমের সরবত, আম ভর্তা, আমের আঁচার বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আম খাওয়ার সময় এর খোসা ফেলে দেন। কারণ অনেকে জানেনই না আমের খোসার আছে আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা প্রায়শই এড়িয়ে যান সবাই।
আমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তামা, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, এ, সি। এর পাশাপাশি আছে ফাইবার। যা জৈব সার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে, আমের খোসা আপনার ডায়েটে একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে।
তাই এরপর থেকে আমের খোসা ফেলে না দিয়ে বরং শারীরিক সুস্থতায় কাজে লাগান। আমের খোসা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির ঘটাতে পারে। যাদের মুখে অবাঞ্ছিত বলিরেখা আছে তাদের জন্য আমের খোসা প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
এজন্য প্রথমে আমের খোসা শুকিয়ে ভালো করে পিষে নিন। এরপর গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখে লাগান। এটি বলিরেখা কমাতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমের খোসায় রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যা দেহে মৃত কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। এমনকি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতেও সাহায্য করে আমের খোসা।
গ্রীষ্মকালে ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা। আমের খোসা কার্যকরভাবে এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
এজন্য আমের খোসা পিষে পেস্ট তৈরি করে ব্রণের স্থানে লাগাতে পারেন। এতে কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।
আমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এই ফ্রি র্যাডিক্যালগুলো চোখ, হৃদপিণ্ড ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত আমের খোসা খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।